চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য, একজন সহকারী প্রক্টরসহ অন্তত ১০ আহত হয়েছে।
বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে একটি হোটেল এ সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
বিবাদমান দুটি পক্ষ হলো শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি-নাইন ও সিএফসি। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ.জ. ম. নাছির উদ্দিন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হলের সামনের একটি হোটেলে খাবার টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে সেটি দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রুপ নেয়।
ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এসময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ৮ কর্মী আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর পলাশ ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একজন পুলিশ সদস্য ও আমাদের একজন সহকারী প্রক্টর আহত হয়েছেন।’
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখব কারা কারা জড়িত। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাদাফ খান বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। আমরা ওদের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানে যাচ্ছি। আমাদের গ্রুপের ছয়জন আহত হয়েছেন।’