বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অজানা’ দাবিতে ইবি’র প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা

  • প্রতিনিধি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২৯ মে, ২০২৩ ২২:২১

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কথায় কথায় ফটক আটকে আন্দোলন ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রধান ফটক আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে কিসের দাবিতে আন্দোলন, তা ঠিক করে জানাতে পারেননি আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে তারা আন্দোলন করেন। এতে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ রুটে ছেড়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রধান ফটকে আটকা পড়ে। ফলে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কথায় কথায় ফটক আটকে আন্দোলন ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক।

এদিকে ঠিক কিসের দাবিতে আন্দোলন চলছে- এ ব্যাপারে জানেন না বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এসময় একেকজন একেকরকম দাবির কথা জানান।

শুরুতে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেয়া ছাত্রলীগের ৩৩ দফার বিষয়টি জানালেও পরে তারা ৭ দফা দাবির কথা জানান।

অন্যদিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার ৫ দফা দাবিতেই তারা আন্দোলন করছেন। তবে পরে আবার ৪ দফা দাবির কথা বলেন তারা।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। ঠিক ওই সময়ে প্রধান ফটকে তালা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে চলে আন্দোলন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘গেট আটকে আন্দোলন করলে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে, তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?’

এদিকে আড়াই ঘণ্টা প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকলেও ঘটনাস্থলে আসেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় ‘মঙ্গলবার বেলা ১২টায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ’- এমন আশ্বাসে তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘এর (আন্দোলন) সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমস্যার বিষয়ে তারা (আন্দোলনকারীরা) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুক। পরিবহন-সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না।

‘কথায় কথায় এভাবে গেট আটকানো উচিত নয়। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমি না আসলেও ঘটনাস্থলে সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন। কথায় কথায় প্রধান ফটক আটকানোর সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এটা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের মাধ্যম হতে পারে না।’

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আলোচনা হবে বলে এ সময় জানান প্রক্টর।

এ বিভাগের আরো খবর