২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় মানবিক বিভাগের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এ বিভাগে আসন প্রতি ১৩ জন শিক্ষার্থী লড়ছেন।
এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দের তালিকায় রেখেছিল তাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর চারটি উপকেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও তিনটি উপকেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন। উপকেন্দ্রগুলো হলো উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নটরডেম কলেজ ও উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে পরীক্ষার জন্য আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩২টি।
মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে এবার আবেদন পড়েছে ৯৬ হাজার ৪৩৪টি। এর আসন ৭ হাজার ৭৪৬ টি। প্রতি আসনে লড়ছেন ১৩ জন।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবার ‘বি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ২১ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৮৪৫ শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জালিয়াতি রোধে আমাদের সর্বোচ্চ নজরদারি রয়েছে। আমাদের এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা কাজ করছেন। প্রক্টরিয়াল বডিও নজরদারি করছে।’
২৭ মে বাণিজ্য বিভাগ (সি) ও ৩ জুন বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। সব পরীক্ষাই দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ১টায় শেষ হবে।
যানজটে ভোগান্তি
এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার প্রথম ধাপে পরীক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকার জনবহুল এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এ সমস্যা প্রকট হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে তীব্র যানজট।
যাত্রীবাহী বাস রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানা হয়নি।
গুলিস্তান হয়ে আসা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকেই যানজটের কারণে ক্যাম্পাস পর্যন্ত হেঁটে আসতে হয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর পরও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
পরীক্ষার্থী রবিন আহমেদ বলেন, ‘মিরপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। রাস্তায় অনেক জ্যাম। গুলিস্তান এসে দেখি রাস্তা পুরোটা ব্লক। পরে হেঁটে কেন্দ্রে আসলাম।’
আরেক শিক্ষার্থী আসমা বিনতে কানিজ বলেন, ‘শুক্রবারে পরীক্ষা নিলে ভালো হতো। অনেক যানজট। উত্তরা থেকে পুরান ঢাকা আসতে আসতেই গরমে আর যানজটে অসুস্থ হয়ে গেছি।’
যানজটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। সমাধানের জন্য আমি আবারও তাদের সঙ্গে কথা বলছি।’