চট্টগ্রামে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার একদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাতে লেখা ৬টি প্রশ্নের দুই পৃষ্ঠার একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরদিন অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষায় সরবরাহ করা কর্ণফুলী ১ নং সেট প্রশ্নপত্রের ১, ৩ ও ৬ নম্বর প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সোমবার রাত ১০টার দিকে আমার এক স্টুডেন্ট ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি প্রশ্নপত্র দিয়ে সমাধান করে দেয়ার অনুরোধ করে। আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নের হুবহু মিল পেয়েছি।’
চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়েছে বলে জানান তিনি।
গোলাম নসরাত নামের একজন বলেন, ‘আমার ছোট বোন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। কয়েকদিন ধরে সে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা বলতেছিল। আমি গুরুত্ব দিইনি।
‘গণিতের দিন সে বলল যে, গত দুই বছরে এমন কোনো দিন নেই যেদিন সে লেখাপড়া করেনি। কিন্তু প্রশ্ন পেয়ে যারা ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বরই পাবে বলে উল্লাস করতেছে তারা তো তার মতো পরিশ্রম করেনি। এমনকি প্রশ্ন পেয়ে টেস্ট পরীক্ষায় পাস না করা শিক্ষার্থীও ভালো নম্বর পাবে বলে বলতেছে। এ নিয়ে সে খুবই বিষণ্ণ।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘আমরা শুনিনি, কেউ আমাদের বলেনি। প্রশ্ন ফাঁস হলে পুরো মিলতে হয়, দুইটা-তিনটা মিললে হবে না।’
সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে এভাবে এক বা একাধিক প্রশ্ন হুবহু মিলতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন, অনেক সময় গাইড থেকে প্রশ্ন হয় না? আমি জানি না, আমি দেখিনি। দেখলে বলতে পারব।’
প্রশ্ন কোন মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে, কোথায় ছড়িয়েছে জানালে গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।