জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপকের ওপর হামলা ও কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
খুলনার কয়রায় উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ওই ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের সই করা এক প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে শনিবার রাতে এ দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘গত শুক্রবার খুলনার কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে দায়িত্ব পালনকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত মর্মাহত ও ব্যথিত।
‘অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সেখানে রাষ্ট্রীয় কাজে দায়িত্বরত ছিলেন। পরীক্ষায় পাস না করা সত্ত্বেও তাকে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য শুরু থেকেই চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে রাজি না হওয়ায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে তিনি নির্মম নির্যাতন করেন (ইউপি চেয়ারম্যান)। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।’
অভিযোগ রয়েছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়ির পাশের রাস্তায় অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ওপর প্রথমে হামলা করেন। পরে বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করা হয়।
গুরুতর আহত অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অধ্যাপক নজরুল এখনও আইনের আশ্রয় নেননি, তবে তিনি দ্রুত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন কয়রা থানার ওসি এবিএমএস দোহা।
অভিযোগ পেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।