বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নানা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ক্রমেই বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে গণমাধ্যম। এ বিষয় নিয়ে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগে একটি সেমিনার হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘ট্রান্সফরমেশন অফ ম্যাস মিডিয়া’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য ড. এইচ এম জহিরুল হক। সেমিনারের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আবদুল্লাহ।
গণমাধ্যমের রূপান্তর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রথমেই বলেন, চৌত্রিশ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে গণমাধ্যমের বিস্ময়কর বিবর্তন দেখেছি। বিগত বছরগুলোতে গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। একে পরিবর্তন না বলে বিবর্তন বলাই শ্রেয়। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি বলেন, তবে শুধু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন বললে ভুল হবে, পরিবর্তন এসেছে গণমাধ্যমের গুণগত, মানগত ও চরিত্রগত দিক থেকেও। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন গণমাধ্যম বলতে মূলত ছিল হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদপত্র। বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমও এক ধরনের গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা।