বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পেল সুমাইয়া, দিচ্ছে পরীক্ষা

  • প্রতিনিধি, পঞ্চগড়   
  • ১ মে, ২০২৩ ১৭:৫৭

ইউএনও মাসুদুল হক বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বিষয়টি শোনার পর আমি ও জেলা প্রশাসক মহোদয় বার বার বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রাতেই তিনি আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে সকালে বোর্ড থেকে ওই ছাত্রীর প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি বালাবাড়ি দাখিল মাদরাসার ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার। রোববার সকালেই তার হাতে প্রবেশপত্র পৌঁছে দেয় উপজেলা প্রশাসন। পরে সে কালান্দিগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

জানা যায়, তিন মাস আগে নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণের ২ হাজার ৫০০ টাকা সুমাইয়ার কাছ থেকে আদায় করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরপর পরীক্ষার জন্য দিন-রাত লেখাপড়া করে প্রস্তুতি নেয় সে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর আগের দিন শনিবার মাদরাসায় প্রবেশপত্র দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী প্রবেশপত্র আনতে যায় সুমাইয়া। প্রবেশপত্রের জন্য অন্যদের মতো মাদরাসার কর্তৃপক্ষকে ৫০০ টাকাও দেয় সে।

কিন্তু দেখা যায় তার নামে কোনো প্রবেশপত্রই আসেনি। পরে জানতে পারে যে তার ফরম পূরণই করেনি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তার বদলে ভুল করে দুই বছর আগে বিয়ে হয়ে লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়া সুরাইয়া নামের এক ছাত্রীর ফরম পূরণ করে দিয়েছে তারা। প্রবেশপত্র না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী।

বিষয়টি তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল হক ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম রাতেই মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বোর্ড চেয়ারম্যান ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। রোববার সকালেই বোর্ড থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রবেশপত্র পেয়ে দারুন খুশি সুমাইয়া।

সুমাইয়ার বড় বোন মোর্শেদা আক্তার বলেন, ‘আমার বোনটা প্রবেশপত্র না পেয়ে একেবারে ভেঙে পড়েছিল। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমার বোন প্রবেশপত্র পেয়েছে। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সে সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়কেও ধন্যবাদ জানাই আমরা।’

ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মাসুদুল হক বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বিষয়টি শোনার পর আমি ও জেলা প্রশাসক মহোদয় বার বার বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রাতেই তিনি আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে সকালে বোর্ড থেকে ওই ছাত্রীর প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার আগেই আমরা ওই ছাত্রীর হাতে প্রবেশপত্র তুলে দিতে পেরেছি।

‘আমরা চাই না কেউ এমন ভুলের কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ুক। এমন ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ওই প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর