শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রকাশনা প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে শুরুর জায়গায় ফিরে আসে। এতে নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’। শোভাযাত্রায় শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও বড় আকারের লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতার প্রতিকৃতি স্থান পায়।
শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো অংশ নেয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি চাই। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবুও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে।’
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় দলীয় ও লোক সংগীত। এ ছাড়াও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন ‘রায়বেঁশে বা লাঠিখেলা’ মঞ্চায়ন হয়। এ ছাড়াও একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, বার্তাসহ শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।