সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হলো- শামসুজ্জামানের নি:শর্তে মুক্তি, শামসুজ্জামান ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা।
আন্দোলনকারী জাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘শামস ভাই দিনমজুরের বরাতে যে কথা লিখেছেন তা এদেশের কোটি কোটি মানুষের মনের কথা। সত্য বললে তার গলা টিপে ধরার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে মুখ চেপে ধরার সাহস করলে আবার একটি গণঅভ্যুত্থান দেখবে এই দেশ। অনতিবিলম্বে শামস ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশের সাংবাদিককে চোরের মত আটক করা হয়। এটি একটি লজ্জার কথা। আমরা যখন পুলিশ, সিআইডির কাছে থেকে জানতে চাই শামস ভাই কোথায় তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে না। যদি সে রাষ্ট্রদোহী কোনো অপরাধ করে থাকত তাহলে কেন ওয়ারেন্ট দেখিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি? রোবববারের ভেতর শামস ভাইকে মুক্তি না দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি গঠন করা হবে।’
জাবির প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা দ্রুত সেখানে গিয়েছি যাতে তাদের সঙ্গে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। রমজানের দিনে মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করতে বলায় তারা নিয়ে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে। অবরোধের ইস্যুটা যেহেতু রাষ্ট্রীয়, রাষ্ট্রই এটার সমাধান করবে। আইনসম্মতভাবেই সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের পুলিশের এএসপি শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য তাদের নিরাপত্তা দিতে এসেছি। কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সেটার দিকেও খেয়াল রাখছি।’