বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা

  • প্রতিনিধি, চবি   
  • ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৭:০৬

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা সম্মানিত করছি ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা আমাদের হৃৎস্পন্দন। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ, তাদেরকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ বদান রাখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে রোববার দুপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার৷

সম্মাননা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, রফিক আহম্মাদ (বিল্লা), অমল মিত্র, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শাহ আলম, মুকুল দাস, মোহাম্মদ ইসমাইল, আনোয়ারুল আজিম, প্রফেসর ডা. জাহিদ শরিফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, এ. এইচ. এম. জিলানী চৌধুরী, মো. আবুল ফয়েজ, নির্মল চন্দ্র নাথ, ফজরুল হক ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, বদিউল আলম, মোহাম্মদ ইউনুস, এ কে এম সরওয়ার কামাল দুলু, মো. গোফরানুল হক ও আলহাজ্ব সুলতানুল কবির চৌধুরী (মরণোত্তর)।

অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন- মোহাম্মদ আবু ইউসুফ চৌধুরী, রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সোলায়মান, সৈয়দ মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম, পংকজ কুমার দস্তিদার, নাসির উদ্দীন চৌধুরী, নওশের আলী খান, এস এম কামাল উদ্দিন (মরণোত্তর), মো. ইদ্রিস (মরণোত্তর), আবুল কাশেম চিশতী, ইউসূফ সালাহউদ্দিন আহমদ, মো. ছালেহ আহমেদ, শহীদুল হক চৌধুরী (সৈয়দ), আহামদ উল্লাহ, মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, আবু সাঈদ সরদার, শেখ সাইফুল আনোয়ার, নুরুল বশর, শাহজাহান খান, হাজী জাফর আহমদ, সৌরেন্দ্র নাথ সেন, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিঞা, শেখ মো. নুরুজ্জামান (মরণোত্তর), ফজলুল হক ভূঁইয়া, আফছার উদ্দিন আহমদ, মোখতার আহমদ (মরণোত্তর) ও এস. এম. ফজলুল হক।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা সম্মানিত করছি ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা আমাদের হৃৎস্পন্দন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত। তাদেরকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরও আমরা ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছি। আমরা দুটি ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে এই সম্মাননা দিচ্ছি। একটি হলো যারা ভাতাপ্রাপ্ত, আরেকটি হচ্ছে যাদের নাম লাল বইয়ে আছে। আমরা যেসব নাম প্রস্তাব করি, সেগুলো আবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ভেরিফাই করেছি।

‘মুক্তিযোদ্ধা যারা আজ সম্মাননা নিচ্ছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা প্রতিবছর সম্মাননা দেয়ার এই ধারা অব্যাহত রাখব।’

অনুষ্ঠান বর্জন শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন/বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি।

অনুষ্ঠানে প্রক্টরকে স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা, প্রশাসনিক পদে নেই এমন একজনকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করা এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা না করায় অনুষ্ঠান বর্জন করে শিক্ষক সমিতি।

অন্যদিকে অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্বে রেজিস্ট্রারকে না রাখায় অফিসার সমিতি অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

আলোচনা সভা বয়কটের বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এমন একজন ব্যক্তিকে (প্রক্টর) স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা হয়েছে যার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে৷ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এক ব্যক্তি। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আইকিউএসির পরিচালককে রাখা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো পদে নেই। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে আমরা সংগঠন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।’

অন্যদিকে চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা বা সভাপতিত্ব করে থাকেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা বা সভাপতিত্ব কোনটিতেই রেজিস্ট্রারকে রাখা হয়নি। এছাড়া অন্যান্যবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অফিসার সমিতিসহ অন্যান্য কর্মচারী সমিতির সভাপতিদের জন্য মঞ্চে আসন রাখা হয়। এবার এটাও করা হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা মনে করেছি যে অনুষ্ঠানে আমাদের মূল্যায়ন নেই, সেখানে না যাওয়াই ভালো।’

এ বিভাগের আরো খবর