এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির ১১তম দিন ছিল সোমবার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
সারা দেশ থেকে আসা শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূছি থেকে শিক্ষক নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক ফারাক। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ।
তারা আরও বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না। বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।
জোটের যুগ্ম আহ্বাক প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার এক শর বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয়, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ভর্তুকি ব্যতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।’