ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটিটিতে ঢাবির সাবেক সহকারী প্রক্টর এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে । এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন -সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. দিলারা জাহিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই কমিটি গঠন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে যেকোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে পেশ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে তিন শতাধিক অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে বছরে অর্ধকোটি টাকার বেশি চাঁদা তুলছে প্রক্টরিয়াল টিম। এ চাঁদাবাজির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রক্টর কার্যালয়ের টোকেনম্যান শামীম হোসাইন।
প্রতিবেদন মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে মাসিক চাঁদার বিনিময়ে তারা ক্যাম্পাসে ব্যবসার সুযোগ দিতেন এসব দোকানিদের। অবৈধভাবে ব্যবসা করা এসব দোকান থেকে নির্দিষ্ট এরিয়ায় নির্দিষ্ট দালালের মাধ্যমে টাকা তোলা হতো। সংগ্রহের সব টাকা হাতে পেতেন শামীম। পরবর্তীতে শামীম চক্রের অন্যান্য সদস্যের মাঝে তা ভাগবাটোয়ারা করতেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, চাঁদার টাকার ভাগ যায় প্রক্টর কার্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. রেজাউল করিম, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য মো. জুয়েল, মাসদু রানা, হামিদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ, মো. মিরাজ, মো. মেহেদী, আমিনুল ইসলাম, কৃষাণ, মো. সালাউদ্দিন ও মো. জাহিদের পকেটে।