শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
বহিষ্কার পাঁচজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের নবীন এক শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তদন্ত কমিটি প্রধান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘র্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা প্রশাসনের লিখিত নোটিশ পেলে তদন্ত শুরু করবো।’
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবু সায়েদ আরফিন খান নোবেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খান ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান।
সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘র্যাগিংয়ের জড়িত থাকার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে৷ ঘটনাটির অধিকতর তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
‘কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স। র্যাগিংয়ের ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। র্যাগিংয়ের ঘটনায় আমরা আগেও ২২ জনকে বহিষ্কার করেছি।’