বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইবিতে ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে র‌্যাগিং তদন্তে ২ কমিটি

  • প্রতিনিধি, ইবি   
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৩৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন গঠিত পৃথক দুই কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‌্যাগিংয়ের নামে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল এবং সদস্য সচিব একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলীবদ্দীন খান। কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শার্মা, খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মুর্শিদ আলম।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব মো. আলীবদ্দীন খান বলেন, ‘আমরা শনিবার বসে আলাপ-আলোচনা করে কাজ শুরু করব। যত দ্রুত সম্ভব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশাসনে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরিভিত্তিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

একই ঘটনায় হল প্রশাসন চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হককে। সদস্যরা হলেন- হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসরাত জাহান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা আক্তার। তারা উভয়েই দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক। এছাড়া হলের শাখা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকও কমিটিতে আছেন। তাদেরকেও ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন এক শিক্ষার্থীকে রোববার রাতে সাড়ে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী অভিযোগে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল, ময়লা জিনিসপত্র জিহ্বা দিয়ে চাটানোসহ নানামুখী অমানুষিক নির্যাতন করেন। এমনকি এ কথা কাউকে বললে মেরে ফেলার এবং শিয়াল-কুকুর দিয়ে খাওয়ানোরও হুমকি দেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। তাদের ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল করারও হুমকি দেয়া হয়।’

এদিকে অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনের কাছে পাল্টা অভিযোগপত্র দিয়েছেন। নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতি

এদিকে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন। যৌথ বিবৃতিতে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ইমানুল সোহান ও মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, আবাসিক হলের অভ্যন্তরে নবীন একজন শিক্ষার্থীকে যেভাবে র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন করা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিভাগের আরো খবর