কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রথম সমাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী।
আগামী ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে কৈলাস সত্যার্থী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।
সমাবর্তনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রথম সমাবর্তন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই উদ্বেলিত। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ডিগ্রির সনদ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন ডিগ্রিধারীরা।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘সমাবর্তনের দিনটি আমাদের জন্য এক বিশেষ মাইলফলক। কারণ এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সমাবর্তনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবনের বিশেষ দিনটির মাধ্যমে সার্টিফিকেট তুলে দিতে পারছি।
‘আমাদের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও একজন নোবেল বিজয়ীকে কাছে পাবেন। এর জন্য আমি আমাদের ফ্যাকাল্টি, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সিইউবি-সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলছি আমরা এবং এতে থাকবে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় ভবন, দৃষ্টিনন্দন লেক এবং বিশাল খেলার মাঠ। আর এটি হবে পরিবেশবান্ধব একটি ক্যাম্পাস।
‘সর্বাধুনিক ল্যাব, স্টুডিও, লাইব্রেরি, থিয়েটার, স্টাডি জোনের সঙ্গে থাকছে শিক্ষার্থী লাউঞ্জ, অবসর কাটানোর জায়গা, জিম, ফুড লাউঞ্জসহ বিভিন্ন সুবিধা। বিশ্বমানের স্থাপত্য নকশায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের পূর্ণতা দেয় সমাবর্তন। সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন। প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তাদের সার্টিফিকেট নেবেন। এ এক বিশাল অর্জন।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে রয়েছে আধুনিক সময়ের উপযোগী বিভিন্ন বিভাগ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে রয়েছে বৃত্তির সুযোগ। ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
এ ছাড়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম।