কারও কথায় বা কারও ইচ্ছায় নয় সংবিধান মেনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এটা চাই, ওটা চাই এসব বাচ্চাদের আবদার। শিশুদের আবদারে দেশ চলবে না, দেশ চলবে সংবিধান মেনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে সোমবার সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিএনপি বলেছিল, ‘ ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ শেখ হাসিনার কথায় চলবে না!’ আমরা বলতে চাই, শুধু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই একসময় দেশ চলেছে, এটা চিন্তা করে তারা যদি মনে করে তাদের কথায়ও দেশ চলবে তাহলে সেটা দুঃস্বপ্ন। এই দুঃস্বপ্ন তারা দেখছে কারণ তাদের বিদেশি প্রভুরা তাদের মদদ দিচ্ছে। এই মদদে সামান্য কিছুদিন হৈচৈ করা যায়, আল্টিমেটলি সত্যের জয় হয় আর অসত্যের পরাজয় হয়। তাদের সেই পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।'’ মন্ত্রী বলেন,‘ বিএনপির কষ্ট একটাই তাদের স্বাদের পাকিস্তান আজকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্র। আর বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেলই না বরং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর পথিকৃৎ। বিএনপির এতদিন কোনো কথাবার্তা নেই, হঠাৎ করে ঘুম থেকে জেগে উঠে আন্দোলনে নেমে যায়।’
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আসেন কেউ বাধা দেবে না। অগ্নি সন্ত্রাস, গুম, খুন এসমস্ত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে আমরা স্বাগত জানাই।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব অ্যাম্বাসেডর ওয়ালিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা রুহুন আমিন মজুমদার, জহির উদ্দিন জালাল, দেওয়ান কামাল, ড. জয়নুল আবেদীন রোজ ও ভাস্কর রাশা।
আলোচনা সভায় অতিথিরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপি-জামায়াতের অগ্নীসন্ত্রাসের শিকার কয়েকজন।