সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হাকিম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার বুধবার রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি পদে কবীর ১৬৪টি ভোট পান। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুব পান ১৫৪ ভোট।
নির্বাচনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ (১৫১ ভোট), কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সী ইবনে নাসের ইবনে আফজাল (১৮৩ ভোট), মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেল থেকে যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম (১৫০ ভোট)।
ছয়টি সদস্য পদের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেল থেকে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন (১৬৩ ভোট), গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক (১৫৪ ভোট), আইআইসিটির সহকারী অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব (১৫৪ ভোট), মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষবৃন্দ প্যানেল থেকে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা (১৫৬ ভোট), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরহাদ রাব্বি (১৫০ ভোট), নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান মিয়া (১৪৯ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেল থেকে ৬টি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেল থেকে ৫টি পদের প্রার্থীরা জয় পান। অন্যদিকে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ এবং ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক গ্রুপ’—এ দুই প্যানেল থেকে কোনো প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এর পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।
এবারের নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে ৪টি প্যানেল থেকে ৪৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোটার ছিল ৫৬০ জন, তবে এর মধ্যে ১৩৬ জন শিক্ষাছুটিসহ অন্যান্য ছুটিতে ছিলেন। নির্বাচনে ৪০৯টি ভোট পড়ে।