বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মী।
নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
সংঘর্ষ, সাংবাদিক হেনস্তা, আবাসিক হলে ভাঙচুর, ছাত্রী হলে মারামারিসহ আলাদা ছয়টি ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
লিখিত আদেশের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে এসব তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরীক্ষা দেয়া দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান (ইলিয়াস) ও একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদুল ইসলাম। দুটি ভিন্ন ঘটনায় দুইজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার মাহমুদুল তৃতীয় বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষার ৩০৯ নম্বর কোর্সে এবং নাহিদুল প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ মীর সাইফুদ্দীন খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ছিলাম। ওই ধরনের কোনো কাগজপত্র আসেনি।
‘যদি কাগজ আসে, আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। বহিষ্কারের তথ্যও আমি জানতাম না, এখন শুনেছি।’
পরীক্ষা বাতিল হবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি একা এ নিয়ে বলতে পারব না। এটা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, ‘সিদ্ধান্ত যেটা হয়েছে, সেটা কার্যকর হয়ে গেছে। কার্যকর হয়ে গেলে তো পরীক্ষা দেয়ার কথা না। সিদ্ধান্ত বিভাগে পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। এ জন্য হয়তো পরীক্ষা দিতে পেরেছে।
‘পরীক্ষা দিলেও সমস্যা নেই। সিদ্ধান্ত বিভাগে গেলে ফলাফল বন্ধ ও পরীক্ষাটা অকার্যকর হয়ে যাবে। তারপরও বিষয়টা প্রক্টরিয়াল বডির জানা উচিত।’