বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিকৃবি ছাত্রলীগের আহত কর্মীকে পাঠানো হলো ঢাকায়

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫১

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দু পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ওমর ফারুকের চোখে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তার অস্ত্রোপচার হয়। এর আগে শুক্রবার রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয় এই ছাত্রলীগ কর্মীকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

প্রক্টর বলেন, ‘সেখানে শনিবার দুপুরে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছে ওমর ফারুক। আমরা তার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি।’

সংঘর্ষে আহত অন্যদের আঘাত গুরুতর নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সংঘর্ষের কারণ খুঁজে বের করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শনিবার ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান প্রক্টর।

আহত ওমর ফারুকের একাধিক সহপাঠী জানান, ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী। শুক্রবার সংঘর্ষকালে ইটের টুকরো তার চোখে এসে পড়ে। এতে তার চোখের মনি ফেটে যায়।

তারা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এ সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে আশিকুর রহমানকে সভাপতি ও মো. এমদাদুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলো তাদের বিরোধী একটি পক্ষ।

শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের কর্মিসভার আয়োজন করে নতুন কমিটি। তবে বিরোধী বলয়ের নেতারা এতে আপত্তি জানান। বেলা ৩টার দিকে বিরোধী বলয়ের নেতা-কর্মীরা সভাস্থলের দিকে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুইপক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করে। এতে ছয়জন আহত হন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বীর মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন ও আকাশ ভুইয়ার নেতৃত্বে কর্মিসভায় হামলা করা হয়েছে। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেন।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির করে রাখতে এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি আশিকের।

এদিকে, ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দু পক্ষকেই হলে সশস্ত্র অবস্থান নিতে দেখা যায়।

সহ সভাপতি সাব্বির মোল্লা ও তার অনুসারী জুনায়েদ আহমেদ শাহপরান হলে ঢুকে কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এই কক্ষগুলোতে সভাপতি আশিকুর রহমানের অনুসারীরা থাকতেন।

এ বিভাগের আরো খবর