বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি স্কুলেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১২

দীপু মনি বলেন, ‘কয়েকটি হাতে গোনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশসেরা মেধাবীদের নিয়ে নেয়। ঢাকার কয়েকটি স্কুল, জেলা শহরের কোনো প্রধান স্কুল মানের দিক দিয়ে ভালো হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাটা অনেক বেশি।’

মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে ভর্তি যুদ্ধে এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে আবেদন পড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অনেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য উদগ্রীব থাকলেও আবেদনে এগিয়ে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’-এর অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ অংশের রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর এক হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দীপু মনি বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ভালো থাকে। সেখানে ভর্তির জন্য সবাই উদগ্রীব থাকেন। আমি আপনাদের ছোট একটি তথ্য দেই। ভর্তি বাণিজ্য, ভর্তি যুদ্ধ, সেগুলো দূর করার জন্য লটারিতে ভর্তির পদ্ধতি চালু করা হয়।

‘এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ আসনের জন্য আবেদন করেছে দুই লাখ ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী। আর সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৭টি। আবেদন করেছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী।

কয়েকটি হাতে গোনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশসেরা মেধাবীদের নিয়ে নেয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার কয়েকটি স্কুল, জেলা শহরের কোনো প্রধান স্কুল মানের দিক দিয়ে ভালো হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাটা অনেক বেশি।

দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,

বিশ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের আর্থিক সম্পৃক্ততা নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড, বই- সবকিছুই সরকার দিয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীনে ২০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে প্রায় ১৭ হাজার। নন-এমপিও আছে মাত্র ১ হাজার ৯১৪টি। গত তিন বছরে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত বড় বিনিয়োগের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ ব্যাকগাউন্ট স্টাডি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্র্যাকের এডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশন-এর পরিচালক সাফি রহমান খান।

এ বিভাগের আরো খবর