ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পাঠ্যবইকে জনপ্রিয় করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রাম ও শহরের শিক্ষার বৈষম্য দূর করার জন্য টেন মিনিট স্কুলের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ভবনের অডিটরিয়ামে টেন মিনিট স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ফেসবুক নিয়ে মা-বাবারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। ফেসবুকে আসক্ত হয়ে যখন টেক্সটবুক ভুলে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন তরুণ উদ্ভাবক আমাদের আয়মান সাদিক সেই ফেসবুকেই টেক্সটবুক জনপ্রিয় করা যায় তার জন্য টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠা।’
টেন মিনিট স্কুল হচ্ছে একটি ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান, যার উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটর রবি তাদের সহযোগিতা করেছিল। লক্ষ্য ছিল এমন একটি স্থান তৈরি করা; যেখান থেকে মানুষ চাইলে সহজেই পড়াশোনা করতে পারবে। এই প্রতিষ্ঠান ইউটিউব এবং ফেসবুকে ও তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সংক্ষিপ্ত লেকচার তৈরি করে থাকে। মূলত এই ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠান বাংলা ভাষায় ভিডিও ক্লাস লেকচার তৈরি করে থাকে।
বর্তমানে তারা লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সিলেবাস কাভার করার পাশাপাশি লেকচারশিট রেকর্ডেড ক্লাসের পাশাপাশি হোমওয়ার্কের ব্যবস্থা রয়েছে৷ বর্তমানে ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষা নিচ্ছে টেন মিনিট স্কুল থেকে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এ রকম চমৎকার করে পড়ানো যায়। আমাকেও যদি এমন চমৎকার করে পড়াত আমিও ভালো করতাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতাম।’
গ্রাম ও শহরের শিক্ষার বৈষম্য দূর করার জন্য টেন মিনিট স্কুলের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দিতে গত ৮ বছর ধরে টেন মিনিট স্কুল যে অবদান রেখেছে সে জন্য তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷’
টেন মিনিট স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিদিন শিখছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী৷ বলেন, এখানে ক্লাস নিয়েও ভালো লেগেছে৷’