বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে কালাজ্বর শনাক্তকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবন

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৩৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এখানে বিশ্বমানের অনেক গবেষক ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’

প্রাণঘাতী রোগ কালাজ্বর নির্ভুলভাবে শনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কালাজ্বর নির্ণয়ের এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক দলের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য এই অসাধারণ উদ্ভাবনের জন্য গবেষক দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের অনেক গবেষক ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আধুনিক ও সমৃদ্ধ ল্যাব স্থাপন করা গেলে শিগগির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ টিকাসহ বিভিন্ন ধরনের টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করা যাবে।’

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ‘রিয়েল টাইম পিসিআরভিত্তিক এই মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে কালাজ্বর শনাক্তকরণের একটি রোগীবান্ধব পদ্ধতি। মূত্রের নমুনা ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে কালাজ্বর শনাক্ত করা সম্ভব।

‘কালাজ্বর শনাক্তকরণে আগে রক্তের ইমিউনোক্রোমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা এবং অস্থি-মজ্জা, যকৃত, প্লিহা, লিম্ফ নোড-এর টিস্যু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। এতে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ৭দিন সময় লেগে যেত। নতুন এই পদ্ধতিতে কালাজ্বর নির্ণয় ও নির্মূলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদের এই গবেষণা ইতোমধ্যে বিশ্বখ্যাত জার্নাল PLOS Global Public Health-এ প্রকাশ হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর