বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন ভর্তি বন্ধ ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:৩০

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘আইন অনুযায়ী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভর্তি কার্যক্রমের জন্য সাত বছরের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর তা সর্বোচ্চ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো যায়। এই ১২ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হয়। যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি বা ব্যর্থ হয়েছে, শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম তাদের বন্ধ করতে হবে। এটা আইনে স্পষ্ট লেখা আছে।’

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ দেয়া হয়নি।

সোমবার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

রোববার ইউজিসিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনসংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভর্তি কার্যক্রমের জন্য সাত বছরের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর তা সর্বোচ্চ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো যায়। এই ১২ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হয়।

তিনি বলেন, ‘যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি বা ব্যর্থ হয়েছে, শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম তাদের বন্ধ করতে হবে। এটা আইনে স্পষ্ট লেখা আছে।’

তিনি বলেন, ‘সেই হিসেবে তাদের আর বৈধতা নেই। দেখা গেছে, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী আছে, তবে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাহলে তাদের টাকা-পয়সা কোথায় গেল? এটা শিক্ষার্থীদের একটা অধিকার তাদের একটা ক্যাম্পাস থাকবে।’

বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘ভাড়া করা ভবনে কোনো মতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে আর আয়ের অর্থ বিদেশে পাচার করবে- এটা তো কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি বলছি না এরা এমনটি করেছে। এটা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। আইনের বিধান অনুযায়ী আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’

তবে আইনি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দেখা যাবে যে তারা জমি কিনেছে এবং কাজ শুরু করে দিচ্ছে। তখন সেটি বিবেচনা করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘বন্ধ বলতে শুধু ভর্তি কার্যক্রম, বন্ধ থাকবে নতুন শিক্ষার্থী নেয়া। আগের যারা তাদের কার্যক্রম চলবে।’

২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস যেতে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় বেঁধে দিয়েছিল ইউজিসি। এর মধ্যে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের মান উন্নয়ন, বিদ্যুৎ লাইন ও গ্যাসের লাইনের কাজ বাকি থাকায় আরও কিছু সময় লাগবে। ইউজিসি এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও তিন থেকে ছয় মাস সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর