মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৩ এর জন্য পৃথক ভেন্যু নির্বাচন নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। আর প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টায়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকের জন্য বই উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপরদিকে মাধ্যমিকের বই উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
ফরহাদুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের মাঠে বই উৎসবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, সচিব ও ডিজি উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন কাপাসিয়ার আয়োজনে।
ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশে চাহিদার ৮০ ভাগ বই সরবরাহ করেছি। আশা করছি ১ জানুয়ারি সফলভাবেই বই উৎসব করতে পারব আমরা।’
এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে ১ জানুয়ারি ‘পাঠপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হবে।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই ছাপানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৮ কপি এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৫ কপি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে।
এবার কাগজ সংকট, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানো ও নির্ধারিত সময়ে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই না পৌঁছানোসহ নানা অভিযোগ থাকলেও এনসিটিবি জানিয়েছে যে ১ জানুয়ারির উৎসবেই তারা শিক্ষার্থীদের হাতে ৮০ ভাগ বই পৌঁছে দেবে।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।