গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ধাপে ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বৈঠক শেষে বুধবার রাতে নিউজবাংলাকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সভায় উপস্থিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপাচার্যও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সভায় আলোচনার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
এর আগে সোমবার রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে শিক্ষাসচিব ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিকে বিবাদী করা হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সে সঙ্গে রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদালত। ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গুচ্ছ ভর্তির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ মাইগ্রেশন চালু ছিল। তবে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের পর প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভর্তি কমিটির এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন।