গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে আদালত।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন।
শিক্ষা সচিব, গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিকে রিটে বিবাদী করা হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছে ভর্তির ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ মাইগ্রেশন চালু ছিল। সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের পর প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সুযোগ বন্ধ হয়েছে।
টেকনিক্যাল কমিটির এ সিদ্ধান্তে গুচ্ছে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না।যেহেতু একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন এখন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
গত ৩০ জুলাই দেশের ১৯ কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের, ১৩ আগস্ট মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নভেম্বর থেকে শুরু হয় ভর্তি।
গুচ্ছের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে ৮৫ হাজার ৫৮২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৪৮ হাজার ১০৬ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ২৩ হাজার ২২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পাস করেছেন।