বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাথমিকে বদলি নির্দেশিকায় এলো যেসব পরিবর্তন

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৬

গত ২২ সেপ্টেম্বরের অনলাইন বদলির নির্দেশিকা জারি করলেও সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর জারি করা সংশোধিত নির্দেশকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশিক্ষণ বা মাতৃত্বকালীন ছুটি কিংবা অন্য কোনো ছুটিতে থাকলে বদলির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন না।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিকে অনলাইন বদলির নির্দেশিকায় সংশোধন এনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বরের অনলাইন বদলির নির্দেশিকা জারি করলেও সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর জারি করা সংশোধিত নির্দেশকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বদলি নির্দেশিকার বিবিধ অংশের ১১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ছুটিতে থাকলে অনলাইনে বদলির আবেদন করা যাবে না। এ ছাড়াও এসেছে আরও কিছু পরিবর্তন।

কী পরিবর্তন আনা হয়েছে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মদের সই করা নতুন নির্দেশিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

সংশোধিত নির্দেশিকায় নতুন একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অন্য জায়গা থেকে সিটি সিটি করপোরেশনের ভেতরে অথবা আন্তসিটি করপোরেশনে বদলির ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলির আদেশ জারি করবেন।

পরিবর্তন আনা হয়েছে বদলির সাধারণ শর্তেও। ৩.১ ধারায় যুক্ত হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে উপজেলা/থানা ও সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে একক ইউনিট হিসেবে গণ্য হবে।

৩.৪ ধারায় যুক্ত হয়েছে, যেসব বিদ্যালয়ে ৪ জন বা তার কমসংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন কিংবা শিক্ষক- শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ এর বেশি রযেছে, সে সব বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না। তবে প্রতিস্থাপন/ পদায়ন সাপেক্ষে বদলি করা যাবে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডাবল শিফটে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে যে কোনো এক শিফটের শিক্ষার্থী যথা প্রথম ও দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যার মধ্যে যে সংখ্যা বেশি হবে তা ১:৪০ অনুপাত হিসেবে বিবেচিত হবে।

৩.৬ ধারায় যুক্ত হয়েছে, উপজেলা/থানায় কোনো পদ শূন্য হলে প্রথমত, সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থী যারা নিজ উপজেলা/থানায় শূন্যপদ না থাকায় জন্য উপজেলা/থানায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থী সেই পদে বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।

তবে, একাধিক পদ শূন্য থাকলে অন্য উপজেলা/থানা/জেলা/বিভাগের শিক্ষকরাও একইভাবে বদলির জন্য বিবেচিত হতে পারবেন। তবে আন্ত:উপজেলা/থানা, আন্ত:জেলা কিংবা আন্ত:বিভাগ বদলির ক্ষেত্রে বদলি হওয়া শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা সর্বশেষ পরিপত্র/নীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত হবে।

৩.৭ ধারায় যুক্ত হয়েছে উপজেলা বা থানার মধ্যে একই পদে একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকলে তাদের মধ্যে যথাক্রমে (১) স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যু/বিবাহ বিচ্ছেদ, (২) প্রতিবন্ধিতা, (৩) কর্মরত বিদ্যালয়ে কর্মকাল, (৪) লিঙ্গ, (৫) চাকরির আবেদনে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা/ স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা থেকে দূরত্ব ও (৬) বিবাহ- এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে শিক্ষকের সন্তান কিংবা স্বামী/স্ত্রী প্রতিবন্ধী হলেও তিনি অগ্রাধিকার পাবেন।

৩.১০ ধারায় যুক্ত হয়েছে বিধবা/বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া শিক্ষক তার স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে পারবেন। বিধবা/ বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া শিক্ষক পুনরার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে স্বামীর স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে ইচ্ছা পোষণ করলে কাবিননামা/প্রত্যয়নসহ আবেদনের ভিত্তিতে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি করা যাবে।

এমন বদলির ক্ষেত্রে নিজের স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে এবং স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে।

বদলির শর্তেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৮.১ ধারায় বলা হয়েছে, ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি/টিআরসি, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নিজ জেলায় পদায়ন/বদলি এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী কর্মস্থলে বদলি করা যাবে না।

তবে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি /টিআরসিকে নিজ উপজেলা এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী কর্মস্থল ব্যতীত অন্যত্র বদলি করা যাবে।

অপরিহার্যতা বিবেচনায় জনস্বার্থে প্রশাসনিক কারণে বদলির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৯.১ ধারায় বলা হয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে বদলির পাশাপাশি অপরিহার্যতা বিবেচনায় জনস্বার্থে/প্রশাসনিক কারণে বদলি করা যাবে।

এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ৬ষ্ঠ থেকে তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মচারীদের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৯ম ও ১০ম গ্রেডের (মূল প্রেড) কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে এবং ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর আন্তঃবিভাগ বদলির ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলির আদেশ জারি করবেন।

এ ছাড়া উল্লিখিত কারণে একই বিভাগের (জেলা ও উপজেলাসহ) বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে বিভাগীয় উপ-পরিচালক বদলির আদেশ জারি করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর