বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাহাদুর শাহ পার্কে খাবারের দোকান বন্ধে মিছিল

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:২৪

মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, বাহাদুর শাহ পার্কে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করে চুলা জ্বালিয়ে প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ ও শহীদবেদির মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এটি রক্ষা করতে হবে সব সচেতন নাগরিককে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কের ভেতরে স্থাপনা নির্মাণ এবং গ্যাসের আগুন জ্বালিয়ে রেস্তোরাঁ চালুর প্রতিবাদে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেছে পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ।

বুধবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন আরামবাগ হোটেলের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসবের ফলে গাছ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পার্কে চলাফেরার পরিবেশ।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি কালো পতাকা মিছিল আরামবাগ হোটেলের সামনে থেকে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কের সড়ক প্রদক্ষিণ করে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে এলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয় এবং সঙ্গে থাকা ব্যানার ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা ‘১৮৫৭ সালের শহীদদের স্মরণে’ লেখাটি পুনঃস্থাপন করতে হবে বলে দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, বাহাদুর শাহ পার্কে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করে চুলা জ্বালিয়ে প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ ও শহীদবেদির মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এটি রক্ষা করতে হবে সব সচেতন নাগরিককে।

তারা বলেন, এই পার্ক সংলগ্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার জনগণের শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের একমাত্র স্থান। এটি শুধু পার্ক নয় ১৮৫৭ সালের ব্রিটিশবিরোধী সিপাহি জনতার সংগ্রামের শহীদবেদি। এই পার্ক রক্ষা করা সব দেশপ্রেমিক জনতার নৈতিক দায়িত্ব।

ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ্ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পার্কে সকাল ও সন্ধ্যায় ভ্রমণকারীদের শরীরচর্চার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ পুরান ঢাকার মানুষের অবসর বিনোদন, অক্সিজেন গ্রহণ ও প্রাতর্ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের একমাত্র স্থান। এর অভ্যন্তরে রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’

সংগঠনটির সদস্যসচিব আক্তারুজ্জামান খান বলেন, ‘অনতিবিলম্বে বাহাদুর শাহ পার্কের অভ্যন্তর থেকে রেস্তোরাঁ ও তার অবকাঠামো অপসারণ, ইতোমধ্যে স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা, ১৮৫৭ সালের শহীদদের স্মরণে লেখাটি পুনঃস্থাপন ও নিরাপত্তার স্বার্থে পার্কের চারপাশে সীমানাবেষ্টনী নির্মাণ করতে হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইউছুব ওসমান বলেন, ‘বাহাদুর শাহ পার্ক শুধু পার্ক নয়। এটি ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের রক্তে রঞ্জিত এক ঐতিহাসিক স্থান। এর মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের একান্ত কর্তব্য।’

মিছিলে বাহাদুর শাহ্ পার্ক সান্ধ্য ভ্রমণকারী সমিতি, বাহাদুর শাহ্ পার্ক প্রাতর্ভ্রমণকারী সমিতি বাহাদুর শাহ্ পার্ক প্রাতর্ভ্রমণকারী সংঘ, বাহাদুর শাহ্ পার্ক সুপ্রভাত সংঘের নেতারাসহ ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল সাত্তার সানাউল হক, আনোয়ার হোসেন, উজ্জ্বল বিশ্বাস আনোয়ার হোসেন মোল্লা, মো. মিরুজ্জামান খান মিরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর