চার ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-এনটিআরসিএতে নিবন্ধিত সনদধারীরা।
প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। পরে বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় ছেড়ে দেন।
প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিএম ইয়াসিন বলেন, ‘শাহবাগ মোড় অবরোধ চলাকালে বিকেল চারটার দিকে ফোনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমরা উনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। উনি বলেছেন, আগামী ২৯ বা ৩০ ডিসেম্বর আমাদের সঙ্গে দেখা করে আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
‘শিক্ষামন্ত্রীর এই আশ্বাসে আমরা শাহবাগ মোড় অবরোধ থেকে সরে এসে আমাদের আগের জায়গা অর্থাৎ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নিয়েছি।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে রওনা হন। শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে ১২ টার দিকে তারা মোড় অবরোধ করে বসে পড়েন। এতে রাস্তায় যানচলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তবে সীমিত পরিসরে গাড়ি চলছিল।
এ সময় আন্দোলনকারীদের কয়েকজন পুলিশের পিটুনিতে আহত হয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৫ জুন থেকে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সামনে তারা গণ-অনশন শুরু করেন। বুধবার তাদের অনশনের ২০০তম দিন।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আবেদনে সব নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে; সব নিবন্ধনধারীর স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
অবরোধের সময় সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা ‘সনদ যার, চাকরি তার’, ‘প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ চাই’, ‘প্যানেল নিয়ে দূর্নীতি, মানি না, মানবো না’, ‘গণবিজ্ঞপ্তির নামে প্রহসন, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।
এনটিআরিসএতে দ্বিতীয় নিবন্ধনধারী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শাহবাগে সনদধারীদের চাকরি দাবিতে গণঅনশন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি প্রথম প্যানেল থেকে ক্রমানুসারে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তির নামে কোনো প্রহসন আমরা মেনে নেব না।’
চাকরি প্রত্যাশী নারী বলেন, ‘চাকরির আশায় একেক প্রার্থী গড়ে ১০০ আবেদন করেছেন। কিন্তু অনেকে নিয়োগ পাননি। এখনো বহু শিক্ষক পদ শূন্য আছে। সরকারের ভাবমুর্তি রক্ষার প্যানেল করে শিক্ষক