জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বুধবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ভোট চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী বিভক্ত নীল দলের দুটি অংশ থেকে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে এবারও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
নির্বাচনে ছয়টি পদের বিপরীতে মোট ৩০ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ পদে এক জন করে এবং সদস্য পদে ১০ জন শিক্ষক নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে মোট ভোটার ৬৭৫ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের নীল দলের দুই অংশ দুটি প্যানেলে নির্বাচন করছে। অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও ড. নাফিস আহমদের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন।
এই অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘নীল দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করে এবং গঠনতন্ত্র অনুসারেই সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। একটা গ্রুপ যারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায় তারাই পরে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন দেখলাম ওখান থেকেও আবার বিভক্ত হয়েছে। এটা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। গতবারের নির্বাচনে আমরা ১২ টি পদে জয়ী হয়েছিলাম। আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষকরা যদি সেটা মূল্যায়ন করেন তাহলে ১৫ টি পদেই আমরা জয় প্রত্যাশী।’
এদিকে নীল দলের অপর অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরিমল বালা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. জহির উদ্দিন আরিফ নির্বাচন করছেন।
নীল দলের এই অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ‘আমরা এবার অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশ্রণে একটি প্যানেল দিয়েছি। যারা সবাই অত্যন্ত উদ্যমী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সুন্দর গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিতে ও সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যেতে যারা বদ্ধপরিকর। আশা করি শিক্ষকরা সেই ভরসা রেখেই এবারের নির্বাচনে এই প্যানেলকে জয়ী করবেন।’