সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সকাল ১১টায় উপজেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র প্রেরণ করা হবে আর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে ২৭ ডিসেম্বর।
একদিনেই চার বিষয়ের পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৯ ডিসেম্বর উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির ফল প্রকাশ করতে হবে।’
পরীক্ষা চার বিষয়ে
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা চার বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের। এ বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে প্রশ্ন থাকবে। বহু-নির্বাচনী এবং লিখিত দুই ধরনের প্রশ্নই থাকবে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই ঘণ্টা। ৪০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে লিখিত। আর ৬০ শতাংশ প্রশ্ন হবে এমসিকিউ পদ্ধতির। প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বাছাই করা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যরা এ সুযোগ পাবে না।
২০০৮ সালে সবশেষ এই পরীক্ষা হয়েছিল। পরের বছর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হলে বাদ হয়ে যায় প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা। তবে গত ২৮ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আবার এ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এতোদিন পিইসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেয়া হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। ফলে দেয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি।
নতুন শিক্ষাক্রমে অবশ্য বৃত্তি পরীক্ষার উল্লেখ নেই। একেবারে দশম শ্রেণিতে গিয়ে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি ও সমমান) নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।