দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার দুপুরে বেসরকারি স্টেট ইউনিভার্সিটির (এসইউবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশন মাস্টার প্লান চূড়ান্তকরণের পর্যায়ে রয়েছে। অবকাঠামোর পাশাপাশি শিক্ষায় প্রযুক্তির মেলবন্ধন করা হচ্ছে।’
এক শিক্ষার্থীর হাতে পদক তুলে দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের রূপকল্পের বাংলাদেশ গড়তে হলে ঔপনিবেশিক আমল থেকে চলা মুখস্থ নির্ভর আর পরীক্ষায় উগড়ে দেয়া শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে চলবে না। বরং শিক্ষাকে আনন্দময় করতে হবে। সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে হবে।’
রূপগঞ্জের কাঞ্চনে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি ও এসইউবির চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সম্মতিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি তার সঙ্গে প্রযুক্তির যে মেলবন্ধন ঘটাতে হবে সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চতুর্থ সম্ভবনার দার আমাদের উন্মুক্ত। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ না প্রযুক্তি তৈরিতে দক্ষ হতে হবে।
‘সেই হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা খেলতে খেলতে কোডিং শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করছি। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফল হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন গড়ে উঠে তখন অনিশ্চয়তা ছিল এর উদ্দেশ্য নিয়ে, লক্ষ্য নিয়ে। সময়ের ব্যবধানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তা প্রমাণ করতে পেরেছে।’
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের সমাবর্তনে আসলে আমার ভালো লাগে। কারণ তারুণ্যের উচ্ছ্বাসটা টের পাই। তরুণরাই ভবিষ্যৎ। তারাই নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।’
উচ্ছ্বাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে হবে। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কথায় বলতে হয় আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল কবির। সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডাক্তার এ এম শামীমসহ প্রমুখ।