বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাসের হারে সিলেট কেন তলানিতে

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:০২

সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘এবার পরীক্ষার আগে সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ছিল। বন্যায় অনেকে বই হারিয়েছে; প্রস্তুতি নিতে পারেনি। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়েছেও। এ কারণেই পাসের হার কমেছে।’

সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ বেড়েছে ২ হাজার ৩৭১টি, তবে পাসের হার ১৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।

স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে এমনটা হয়েছে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সিলেট শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে ফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল। ওই সময় বোর্ডের সচিব কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এবার সিলেটে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে রেকর্ড ৭ হাজার ৫৬৫ শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ শিক্ষার্থী। সে বছর পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘এবার পরীক্ষার আগে সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ছিল। বন্যায় অনেকে বই হারিয়েছে; প্রস্তুতি নিতে পারেনি। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়েছেও। এ কারণেই পাসের হার কমেছে।

‘এ ছাড়া গত বছর গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা ছিল না। কেবল তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এবার গণিত ও ইংরেজি ছিল। তাই পাসের হার কমেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের ফলাফলে আমরা খুশি। আমরা উন্নতি করছি।’

বন্যায় পাসের হার কমলেও কীভাবে জিপিএ ফাইভ বাড়ল জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা। আর জিপিএ ফাইভ বেশি পেয়েছে শহরের শিক্ষার্থীরা। বন্যায় ক্ষতি তাদের তুলনামূলক কম হয়েছে।’

এবার সিলেট বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গণিতে এ হার ৮৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

অরুণ চন্দ্র পাল জানান, চলতি বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৯০ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। তাদের মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষায় বসে। পাস করে ৯০ হাজার ৮৪৮ জন।

সিলেট বোর্ডে ৪৯ হাজার ৮৭ ছেলে ও ৬৬ হাজার ৩০৪ মেয়ে পাস করেছে। ছেলে ও মেয়েদের পাসের হার যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ ও ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

এবার ৩ হাজার ২৫৪ ছেলে ও ৪ হাজার ৩১১ মেয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।

অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, সিলেট বোর্ডের অধীনে ৯৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ১৫০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা শূন্য।

তিনি বলেন, ‘আগের বছরের চেয়ে এবারে জিপিএ ফাইভপ্রাপ্তদের সংখ্যা ২ হাজার ৭৩১ জন বেড়েছে।’

মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী অধিক হওয়ায় পাসের হার কমেছে জানিয়ে অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘দেশের অন্যান্য বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি থাকে, কিন্তু সিলেটে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী যেখানে ২৩ হাজার ৩১৮ জন, সেখানে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ৮৪ হাজার ২৭৩ জন।

‘পাসের হারেও মানবিক বিভাগ অনেক পিছিয়ে। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অন্যদিকে মানবিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।’

এবার সিলেট বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ বিভাগে ২৩ হাজার ৩১৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ হাজার ২৩০ জন পাস করেছে। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৮৯৪ জন জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।

মানবিক বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ; জিপিএ ফাইভ ৩৮৯ জন। এ বিভাগে ৮৪ হাজার ২৭৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৩ হাজার ৩১৫।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ বিভাগে ৮ হাজার ৮৯৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৭২৮ জন। ২৮২ শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।

এদিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীন চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে সিলেটের শিক্ষার্থীরা। এ জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এর বাইরে সুনামগঞ্জে ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও মৌলভীবাজারে ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর