বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাথমিকে মূল্যায়ন পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর, ফি নেই

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ২০:০৮

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর থেকে দুই শিফট মিলিয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম শিফটে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত, এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা। পরীক্ষা-সংক্রান্ত কোনো ফি অভিভাবকের কাছ থেকে নেয়া হবে না।

প্রাথমিকে মূল্যায়ন বা তৃতীয় প্রান্তিক নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে, যা চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত কোনো ফি নেয়া হবে না শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশনের পরিচালক মনীষ চাকমার সই করা রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকে মূল্যায়ন নিয়ে নতুন নির্দেশনা ও পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তির শেষে একই শাখার সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানার সই রয়েছে, যাতে ১ নভেম্বরের নথি ও ৩১ অক্টোবরের নির্দেশনা ও শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন-২০২২ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) নাসরিন সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই নির্দেশনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে সেখানে। পরীক্ষা-সংক্রান্ত কোনো ফি অভিভাবক থেকে নেয়া হবে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর থেকে দুই শিফট মিলিয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম শিফটে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা।

সম্প্রতি প্রাথমিকে মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। সেগুলোতে উল্লেখ করা হয়, মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন লেখা হবে ব্ল্যাকবোর্ডে; উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হবে।

সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলে প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, এ বিজ্ঞপ্তি অসত্য। এমন কোনো নির্দেশনা এখনও দেয়া হয়নি। ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তিতে নেই কোনো স্বাক্ষর বা তারিখ।

নিউজবাংলা এই বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বিজ্ঞপ্তিটি যে অসত্য ছিল, তা তুলে ধরা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনো ফি গ্রহণ করা যাবে না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটার কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষঙ্গিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত/স্লিপ ফান্ড থেকে ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী বাজেট থেকে সমন্বয় করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র ছাপাখানায় মুদ্রণ করা যাবে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৮ ডিসেম্বর ইংরেজি পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে মূল্যায়ন বা তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা। এরপর ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক গণিত, ১২ ডিসেম্বর বাংলা, ১৩ ডিসেম্বর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরিবেশ পরিচিত সমাজ ও বিজ্ঞান এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ১৮ ডিসেম্বর দুই শিফটেই তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির দুটি পরীক্ষা রয়েছে। প্রথমে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এরপর চারু ও কারুকলা, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা। ১৯ ডিসেম্বর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চারু ও কারুকলা, সংগীত ও শারিরীক শিক্ষা এসং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান।’

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রতি শ্রেণিতে প্রতি বিষয়ে পূর্ণমান ৬০ নম্বরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয়ে শ্রেণি মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বর এবং চূড়ান্ত প্রান্তিকের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে এবং অভিভাবকদের অবহিত করতে হবে।

‘কোনো বিশেষ পরিস্থিতির জন্য মূল্যায়নের তারিখ ও সময়সূচি পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তারিখ ও সময় পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।’

এ বিভাগের আরো খবর