বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেসিদের জাগরণে স্বস্তি ঢাবিতে

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:৪৬

আমজাদ হোসেন হৃদয় নামের এক ছাত্র বলেন, ‘আজকের খেলায় মেসির কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল। নিজে গোল দেয়া এবং ফার্নান্দেসকে দিয়ে করানো গোলটা দেখে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি। মার্টিনেজের সেভটাও দেখার মতো ছিল।’

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে উঠে আসতে বিকল্প ছিল না জয়ের।

কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অধরা সেই জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলেন মেসি, ফার্নান্দেসরা, কিন্তু বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতের ম্যাচের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বুক চিনচিন করছিল দর্শকদের। তীর্থের কাকের মতো গোলের অপেক্ষায় ছিলেন তারা।

সে অপেক্ষার অবসান হয় দ্বিতীয়ার্ধে। দলপতি লিওনেল মেসির নীরবতা ভাঙানো গোলে প্রাণ ফেরে দর্শকদের। এরপর এনজো ফার্নান্দেসের দ্বিতীয় গোলে আসে স্বস্তি, যা বহাল ছিল রেফারির শেষ বাঁশি পর্যন্ত।

মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার গুরুত্বপূর্ণ এ জয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শকদের মতো প্রাণ ফেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি, মুহসীন হলের মাঠে বড় পর্দায় খেলা দেখা দর্শকদের। গভীর রাতে তাদের মুখ থেকে বের হয় চাপা অভিমান আর আনন্দের কথা।

বাঁশি বাজিয়ে, মোটরসাইকেলে শোডাউন করে, আর্জেন্টিনার পতাকা গায়ে প্যাঁচিয়ে, নেচে-গেয়ে মেসিদের জয় উদযাপন হয় ঢাবি ক্যাম্পাসে। অনেকে স্লোগান দিতে দিতে ফেরেন হল আর বাসায়।

এমন মুহূর্তে কথা হয় কিছু আর্জেন্টিনাপ্রেমীর সঙ্গে। তাদের একজন ঢাবি ছাত্র নাসিমুল হুদা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা আরেকটু বেশি ছিল। তারপরও জয় পেয়েছি দেখে ভালো লাগছে।

‘প্রথমার্ধের খেলায় আমরা মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারিনি। যখন খেলা দেখছিলাম, তখন প্রচণ্ড রাগ উঠছিল। কারণ আর্জেন্টিনা এত বাজে খেলবে, সেটা মানতে পারছিলাম না। তাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল।’

আরেক ছাত্র সিদ্দিক ফারুক বলেন, ‘প্রথমার্ধে মন খারাপ থাকলেও মেক্সিকোর এত ডিফেন্সের ভেতর মেসির গোল এবং ফার্নান্দেসকে দিয়ে করানো গোলটা অসাধারণ ছিল, তবে আমাদের খেলায় আরও অনেক উন্নতি করা দরকার। এই খেলা দিয়ে আমরা ফাইনালের স্বপ্ন দেখার সাহস করতে পারি না।’

আমজাদ হোসেন হৃদয় নামের এক ছাত্র বলেন, ‘আজকের খেলায় মেসির কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল। নিজে গোল দেয়া এবং ফার্নান্দেসকে দিয়ে করানো গোলটা দেখে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি। মার্টিনেজের সেভটাও দেখার মতো ছিল।

‘আশা করছি পোল্যান্ডের ম্যাচে আমরা জিতব। আমি অনেক বেশি করে চাইছি, কাতার বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনার হোক।’

এসইএস শাহিনের কাছে মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ফাইনাল। এতে জয়ের পর তার ভাষ্য, ‘আর্জেন্টিনার সামনে দুইটা ফাইনাল ছিল। একটাতে আজ জিতেছে; আরেকটা আগামী বৃহস্পতিবার।

‘সেটাতেও জিতবে বলে আশা আছে, তবে দলের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কেউই ফর্মে নাই। তারপরও আমি আশা ছাড়তে চাই না।’

আর্জেন্টিনার বহুল প্রতীক্ষিত এ জয়ের উচ্ছ্বাসের ঢেউ দেখা গেছে ছাত্রীদের হলে। হল গেটের ভেতর থেকে ‘মেসি মেসি’ স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রীদের।

প্রিয় দলের খেলা বড় পর্দায় দেখবে বলে অনেক ছাত্রী নির্ধারিত সময় রাত ১০টার মধ্যে হলে ঢোকেননি। খেলা শেষে তারা বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে, আড্ডা দিয়ে রাত কাটিয়েছেন।

এমনই একজন তাসনুভা জাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টায় হল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা নেই। সবার সঙ্গে বড় পর্দায় খেলা দেখার মজাটাই অন্যরকম। আর সেটা যদি হয় প্রিয় দলের, তাহলে আনন্দটা দ্বিগুণ হয়।

‘তাই আজকে খেলা শেষে বান্ধবীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসেই গল্প, আড্ডা করতে করতে রাত কাটাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে মেসি জিতেছে; অনেক খুশি। এবার অন্তত বিশ্বকাপটা মেসির হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর