শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে মানসম্মত শিক্ষা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা খাতে আমরা অনেক কিছু করলেও আমাদের আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে।’
দুই দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান রিম বিজনেস ফোরাম (আইওআরবিএফ) লিডারশিপ সামিট ২০২২-এর শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোয়ালিটি এডুকেশন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা খাতে আমরা অনেক কিছু করলেও আমাদের আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে। আমাদের ভিশনারি লিডার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব। এ আয়োজন যিনি করেছেন শেখ ফজলে ফাহিম, তিনি একজন ডায়নামিক লিডার। করোনা-পরবর্তী সময়ে এমন একটা আলোচনার আয়োজন করার জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে টেকনোলজির ব্যাপারে। টেকনোলজি একজন মানুষের জীবনকে সফলতা দেবার পাশাপাশি অনেক বেশি ক্ষতিও করতে পারে। শুধু টেকনোলজি নিয়েই আমাদের দক্ষ না করে গবেষণার মাধ্যমেও আমাদের দক্ষ করা উচিত। এখানে আমাদের অনেক বড় গ্যাপ আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক পরীক্ষানির্ভর, সার্টিফিকেট ফোকাসড, এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মুখস্থ করে নয়, এখন থেকে শিক্ষার্থীরা শিখবে প্র্যাকটিক্যাল করে। আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের শিক্ষা খাত থেকে হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তাই সবাইকে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা নিতে হবে, যেন তারা প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী একটা সংকট চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুই দেশই প্রায় সমান সবদিক দিয়ে। টেকনোলজির যে প্রসার হচ্ছে, এটা একদিকে যেমন আমাদের জন্য ভালোর, অন্যদিকে ক্ষতিরও। আমরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বলি, তখন দেখতে পাই যে ফেসবুক টুইটার ই-মেইল ইত্যাদির দিন দিন প্রসার হয়েই যাচ্ছে। আমরা দেখি যে অনলাইন বুলিংয়ের কারণে অনেকেই আত্মহত্যা করে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসে, তখন থেকে এখন আমরা অনেক বেশি ডিজিটাল অন্যান্য এলডিসি দেশের তুলনায়। আমাদের আছে হাইটেক পার্ক, ফ্রিল্যান্সার, এবং আইটি বিজনেসের জন্য প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে আমরা বিশ্বে দ্বিতীয়।’