সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কিত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ। রিটকারিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এমকে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মো. মোতাহার হোসেন সাজু ও সাঈদ আহমেদ রাজা। সিনিয়রদের সহযোগিতা করেন মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও নিগার সুলতানা।
আপিল বিভাগের আদেশের পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৩ সালে সরকার সারা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণ করে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণের জন্য ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩’ জারি করে এবং উক্ত বিধিমালার ২(গ)-ধারায় কার্যকর চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করার কথা উল্লেখ করে।
‘একই বিধিমালার ৯(১)-ধারায় উল্লেখ করা হয় যে ‘কোন শিক্ষকের নিয়োগ দেয়ার তারিখ হতে কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষক পদে তাহার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে এবং উক্ত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে ওই শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বিধিমালার ৯(১)-ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেন।’
এরপর সে রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন এবং জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কিত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।