এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রান্নার গ্যাস নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হলের ছাত্রীরা।
হল ক্যান্টিনের খাবার নিম্নমানের অভিযোগ করা বেশিরভাগ ছাত্রীই নিজেরা রান্না করে খান। গ্যাস না থাকায় বাইরের খাবার কিনে খেতে হচ্ছে তাদের।
এমন বাস্তবতায় হল কর্তৃপক্ষ বলছে, লাইনে আসছে না গ্যাস। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
গত ১২ নভেম্বর বিকেল থেকেই হলের প্রতি তলায় থাকা চুলায় গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে যেসব ছাত্রী নিজেরা রান্না করতেন, তাদের বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে আনতে হচ্ছে। কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন ইলেকট্রনিক রাইস কুকার।
আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, ১৬ তলা হলের নিচে ক্যান্টিনে রান্না ঠিকঠাক চলছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতি তলায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আক্ষেপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচ ও হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ এক সপ্তাহ হয়ে গেল গ্যাস নেই। আমরা সবাই খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি। প্রতি বেলায় বাহির থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।’
আরেক আবাসিক ছাত্রী সুমাইয়া সুবর্ণা বলেন, ‘হলে গ্যাস নাই মানে একদমই নাই। হলে এমন টোটালি গ্যাস অফ থাকার কারণ আমাদের কারোরই জানা নেই।’
আইন বিভাগের ছাত্রী পূরবী দাস বলেন, ‘হলে গ্যাস নেই। পুরান ঢাকায় প্রায়ই গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।
‘শীতকালে তা আরও বেশি, তবে এতদিন ধরে গ্যাস না থাকলে তো আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্যাস নেই এটা শোনার পর আমি ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি, তারা চেষ্টা করছে। শুনলাম এ এলাকায়ই গ্যাসের সমস্যা। ছাত্রীরাও গ্যাস নেই এমন একটি অভিযোগ করে আবেদন জমা দিয়েছিল আমার কাছে। আমি সেটা ফরওয়ার্ড করেছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
‘তা ছাড়া মিস্ত্রির সঙ্গেও কথা হয়েছে। কারও দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে গ্যাসের লাইন বন্ধ করার সুযোগ নেই।’
হলের অন্য তলাগুলোতে গ্যাস না থাকলেও নিচে ক্যান্টিনে রান্না কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘ক্যান্টিনের ওরা রাত থেকে রান্না শুরু করে। আর সকালে যখন হালকা গ্যাস আসে তারা কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করে। তাদের আমি নির্দেশ দিয়েছি রান্না যাতে বন্ধ না হয়।’