ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি ও ব্যাংক খাতের ওপর দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোড শো করেছে পদ্মা ব্যাংক। বুধবার ইউনিভার্সিটির প্রগতি সরণি ক্যাম্পাসে এই আয়োজন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ফাইল প্রসেসিং করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কভার লেটার, সিভি লেখা ও চাকরির ইন্টারভিউর প্রস্তুতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই রোড শোতে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলােদশের ভাইস চ্যান্সেলর জহিরুল হক।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে সফলভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কয়েক বছর ধরে দেশের আর্থিক খাতে সুনামের সঙ্গে অনেকে কাজ করছে। ব্যাংক খাত তার মধ্যে অন্যতম। ফলে এ খাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে অবশ্যই ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি সম্পর্কে জানতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে জীবনে বেশি বেতন পাওয়া মানেই সফলতা নয়। বরং সফল বলতে বুঝায় সঠিকভাবে কাজ করে যাওয়া। আর ব্যাংকিং খাতে নিজেকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির হেড অফ স্কুল অ্যান্ড বিজনেস এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির অভাব আছে। ফলে এ বিষয়ে তাদের জ্ঞান অর্জন করা জরুরি বলে আমি মনে করি।
‘সমাজে একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে ব্যাংকগুলো তাদেরই টাকা দেয় যাদের প্রকৃতপক্ষে টাকার দরকার নেই। আর যাদের দরকার আছে তাদেরকে টাকা দেয় না। তবে এদিক থেকে পদ্মা ব্যাংক ব্যতিক্রম। পদ্মা ব্যাংক তার গ্রাহকের যে কোনো প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়।’
এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, ‘আর্থিক খাতের মধ্যে ব্যাংক খাত নিয়ে বেশি গবেষণা হয়। ফলে ধীরে ধীরে এই খাত নিয়ে কাজ করার সুযোগ বাড়ছে। ব্যাংক খাতে ক্যারিয়ার ভাল, সম্মানজনক। এই খাতের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করা যায়।
‘পদ্মা ব্যাংক সঠিক ব্যাংকিং নিয়মের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের জন্য একাউন্ট খোলা যায়। শিক্ষার্থীদের ব্যাংক সম্পর্কে জানতে সব রকম সাহায্য পদ্মা ব্যাংক করবে।’
পদ্মা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এম আহসান উল্লাহ খান বলেন, ‘চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক পদ্মা। বর্তমানে এই ব্যাংকে ৯৬২ জন কর্মী কাজ করছেন। ১৭টি এটিএম বুথের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।
আমাদের ৫৯টি ব্র্যাঞ্চ এবং ৪টি সাব-ব্র্যাঞ্চ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে। কারণ গ্রাহকদের সঙ্গে যে প্রতিজ্ঞা আমরা নিয়েছি তা বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য পদ্মা ব্যাংক কোনো চাকরি অফার করে না। তবে এই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে একটি ভালো ক্যারিয়ার পাওয়া যাবে। ফলে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ব্যাংক সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা জরুরি।’
পদ্মা ব্যাংকের হেড অফ সেগমেন্ট নাফিসা আরা বলেন, ‘আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশের ব্যাংক একাউন্ট আছে। সে সুবাদে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের সেবা নিচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাংক ব্যবহারের প্রবণতা অনেক কম। মাত্র ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্ট আছে। শিক্ষার্থীদের একাউন্ট খোলা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে বাইরের দেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক। ফলে তাদের এখনই পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া জরুরি। পদ্মা ব্যাংকে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কোনো রকম চার্জ ছাড়াই একাউন্ট খোলা যাচ্ছে।
‘শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং থাকতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে এই খাতে তারা ভাল করতে পারবে।’
অনুষ্ঠান শেষে রোড শোতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়া হয়।