বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইইউবিতে ভাষা বিষয়ক দুই কেন্দ্রের উদ্বোধন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৩৮

‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ ও ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাংগুয়েজেস’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘আজকের প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে হলে ভাষাজ্ঞান জরুরি। বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভাষা শিখলে আমাদের শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে।’

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (আইইউবি) উদ্বোধন হল ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ ও ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাংগুয়েজেস’।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবি ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই দুই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গেস্ট অফ অনার ছিলেন আইইউবি বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য দিদার এ হুসেইন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স সৃষ্টি হয়েছে দেশীয় ও বিদেশি ভাষা সমৃদ্ধ করার জন্য। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা এই ভাষাকে কেন্দ্র করেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

‘বাংলাদেশ বহু ভাষাভাষীর দেশ। এখানে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের ভাষাকে সংরক্ষণ করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেখানে কাজ করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন নিজের ভাষা জানাটা জরুরি, তেমনই বিদেশি ভাষা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’

আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আজকের এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে হলে ভাষাজ্ঞান খুবই জরুরি। এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশেই শিক্ষা এবং যোগাযোগের মূল মাধ্যম হলো সেসব দেশের মাতৃভাষা। সুতরাং বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভাষা শিখলে আমাদের শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে।’

দিদার হুসেইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের হয়তো অনেক কিছু নেই। আবার অনেক কিছু আছে। ভালো হোক মন্দ হোক, এটা আমার দেশ। আমার দেশের জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দেবো। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি এই বিষয়টা মাথায় রাখে তাহলে আইইউবি এগিয়ে যাবে, দেশও এগিয়ে যাবে।’

আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, তাহলে এই চ্যালেঞ্জটা আইইউবির শিক্ষার্থীদের নিতেই হবে।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা হলো যোগাযোগের মাধ্যম। একজন মানুষ যত বেশি ভাষা জানবে নিজের জন্য ততো বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারবে। আজকের এই দ্রুতগতির ডিজিটাল যোগাযোগ এবং রূপান্তরের যুগে, মাতৃভাষার পাশাপাশি একাধিক ভাষা জানা থাকলে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে থাকা যাবে।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তৌহিদ সামাদ ও এ মতিন চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।

প্রসঙ্গত, সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্সের নামকরণ করা হয়েছে আইইউবির ট্রাস্টি দিদার এ হোসেইন-এর প্রয়াত কন্যা সাশিন দিদার হোসেইনের নামানুসারে। দুটি সেন্টারই আইইউবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এখানে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি জাপানিজ, কোরিয়ান, ফ্রেঞ্চ, ম্যান্ডারিন, জার্মান, আরবিসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো সংরক্ষণে কাজ করবে সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস।

এ বিভাগের আরো খবর