সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তাদের বেতন কাঠামো তৃতীয় শ্রেণি (১৩ তম গ্রেড) থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে (দশম গ্রেড) উন্নীত না করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাবনা প্রণয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ সংক্রান্ত ১৫ শিক্ষকের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, আইন সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছর ৩০ নভেম্বর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়েছিল।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদেশের পরে রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো তৃতীয় শ্রেণির। অথচ একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একজন সিনিয়র নার্স দ্বিতীয় শ্রেণির (দশম গ্রেড) পদমর্যাদার বেতন পান।’
এ বৈষম্য নিরসনে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে।