বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির হলে শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মী

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:০৩

আহত শিক্ষার্থীর রুমমেট নুর ইসলাম জানান, মারধরের শিকার রাসেল মাহমুদকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সে সময় তার কথা বলার মতো অবস্থাও ছিল না। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে হলের যমুনা ব্লকের ১১০০১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বেডমেট ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নুর ইসলাম।

তিনি জানান, মারধরের শিকার রাসেল মাহমুদকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সে সময় তার কথা বলার মতো অবস্থাও ছিল না। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

রাসেল মাহমুদ বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম মোনাফ প্রান্ত ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সদস্য। তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের অনুসারী।

নুর ইসলাম বলেন, ‘আমি ও রাসেল মাহমুদসহ কয়েকজন হলের যমুনা ব্লকের ১১০০১ নম্বর রুমে থাকি। অঞ্চলভিত্তিক রুম ভাগ হয়ে যাওয়ায় আমাদের রুমে দক্ষিণবঙ্গের আট শিক্ষার্থীকে সিট দেয়া হয়েছে। মুনাফ তাদের একজন।

‘আমাদের অন্য একটি রুমে শিফট করার কথা রয়েছে। কিন্তু আমরা অন্য রুমে শিফট হওয়ার আগেই মুনাফরা আমাদের রুমে চলে আসে এবং তারা তাদের জিনিসপত্র রুমে রেখে আমাদের জিনিসপত্রগুলো বাইরে বের করা শুরু করে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জিনিসপত্র সব গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের আরেক বন্ধু রুমে এসে তার জিনিসপত্র বাইরে বের করা অবস্থায় দেখে প্রান্তর কাছে কারণ জানতে চায়। এ সময় প্রান্ত রেগে গিয়ে ধমক দেয়- এতো কথা বলিস কেন? দ্রত কাজ কর।

‘রাসেল তখন বলে, তুই এরকম হুমকি দিচ্ছিস কেন? এরপরই প্রান্ত পাশে থাকা রড দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করে এবং চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময় রাসেল পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাই।’

অভিযোগের বিষয়ে মোনাফ প্রান্ত বলেন, ‘রাসেল আমার ভালো বন্ধু। তার সাথে গতকাল আমার ছোট একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এরপর বড় ভাইয়েরা এসে মিমাংসা করে দিয়েছেন। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আমরা বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর