বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিতর্কিত প্রশ্ন: অভিযুক্ত শিক্ষক লাপাত্তা, দায় নিচ্ছেন না মডারেটর

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২২ ২২:২৫

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র ঘটনার বিষয়ে মডারেটরের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তারা প্রশ্ন সিলগালা করে দিয়ে থাকেন, যা পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে প্রেসে পাঠানো হয়।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্র প্রশ্নের বিতর্কিত অংশ আগেই বাদ দেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রশ্নপত্রটির একজন মডারেটর। তারপরও বিতর্কিত অংশ কীভাবে রয়ে গেল, সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

এদিকে প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল এলাকায় নেই। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে, ঝিনাইদহের বাড়িতে তার বৃদ্ধ মা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথা হয় বিতর্কিত প্রশ্নপত্রের মডারেটর হিসেবে থাকা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, কাসালাং সেটের ১১ নং প্রশ্নের বিতর্কিত অংশ তারা বাতিল করেছিলেন। এর পরেও চূড়ান্ত প্রশ্নে তা থেকে যাওয়ার কারণ অজানা।

রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার চেয়ে সিনিয়র ৩ জন মডারেটর আছেন। আমি সবার জুনিয়র। শোকজ করলে আমরা বিষয়টির জবাব দেবো।

‘মডারেশনের সময় প্রশ্নটি আমরা দেখেই বুঝেছিলাম এতে বিতর্ক হতে পারে। সেজন্য আমরা প্রথমে উদ্দীপক ও প্রশ্ন পরিবর্তন করেছিলাম। আমি নিজেও একটি উদ্দীপক বানিয়েছিলাম। সেখানে হিন্দু-মুসলমান কিছু ছিল না।’

নিজের দায় নাকচ করে তিনি বলেন, ‘ওই প্রশ্নটি (বিতর্কিত প্রশ্ন) ছিল ১০ নম্বরে। আমরা সেটা কেটে দিয়ে (বাতিল করে) ১১ নম্বর প্রশ্ন দিয়েছিলাম। হাতে লেখা প্রশ্ন ফেলে দেয়ার নিয়ম নেই, তাই আমরা যুক্ত করে রেখেছিলাম। কিন্তু কীভাবে বাতিল করা উদ্দীপক ও প্রশ্ন ছাপা হলো, সেটা আমি জানি না।

‘২৪ বছর ধরে চাকরি করছি, এর মধ্যে ১২ বছর ধরে মডারেশন করছি। ভুল করার সুযোগ নেই।’

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার পাশাপাশি তিনি বাড়িতে থাকছেন না। বাড়িতে গিয়ে তার বৃদ্ধ মা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রশান্ত কুমার যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সেই ড. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মিডিয়ার মাধ্যমে ও শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে ঘটনা জানতে পারি। তবে প্রথমে জানতাম না যে এটি আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের করা প্রশ্ন ছিল।

‘প্রশান্ত কুমার পালের সঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) সকালে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন-তিনি এই প্রশ্নটি করেছিলেন, প্রশ্নটি ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষায় সিলেক্ট হয় এবং পরীক্ষায় সেটি এসেছে। একটা ভুল করে ফেলেছেন বলেও তিনি আমাকে জানান।’

অধ্যক্ষ দাবি করেন, ভুলের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে প্রশান্ত সদুত্তর দিতে পারেননি।

শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল কবি ও লেখক জানিয়ে অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র বলেন, ‘তার সাতটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এ রকম কাজ করেছেন জানতে পেরে আমি নিজেই দুঃখ পেয়েছি। সরকার এ ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমি প্রতিপালন করবো।’

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র ঘটনার বিষয়ে মডারেটরের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তারা প্রশ্ন সিলগালা করে দিয়ে থাকেন, যা পরে লটারির মাধ্যমে প্রেসে পাঠানো হয়।

‘মডারেটর যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটার ব্যবস্থা তদন্ত কমিটির মাধ্যমে হবে। তাদের বক্তব্য যাচাই করতে হবে। পাণ্ডুলিপিতে তো আছে, কী করা হয়েছে। তারা মুখে বলছেন কেটে দিয়েছি বা বাতিল করেছি, তাহলে নিশ্চয় ওটা কাটা থাকবে।’

প্রশ্ন সরাসরি বিজি প্রেসে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেসে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। চূড়ান্ত প্রশ্ন বড় খামে ঢুকিয়ে লটারি করা হয়। তারপর এটা সরাসরি বিজি প্রেসে যায়। প্রেসে গেলেও এটা (সংযুক্ত অংশ) ধরা পড়বে। সেই অনুযায়ী ছাপা হবে।’

মডারেটররা সিলগালা করে প্রশ্ন দিয়ে থাকেন, এটা অন্য কারও বদলানোর সুযোগ নেই বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

এ বিভাগের আরো খবর