প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যাওয়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছে। প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। লিখিত শেষে ব্যাবহারিক পরীক্ষা হবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা পুনর্বিন্যাস পাঠ্যসূচি অনুযায়ী হবে। এইচএসসিতে এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।
সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী, সকাল শিফটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। আর বিকেল শিফটের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
পরীক্ষার মোট সময় ২ ঘণ্টা। এর মধ্যে এমসিকিউ/বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট এবং রচনামূলক/সৃজনশীল পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হবে। এমসিকিউ ও রচনামূলক অংশের পরীক্ষার মধ্যে বিরতি থাকবে না।
এ বছর পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বিএম, ভোকেশনাল এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী।
সারা দেশে ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে বসছেন ২ হাজার ৬৪৯ টি কেন্দ্রে।
গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন। অর্থাৎ এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন।
এর আগে ১২ অক্টোবর এইচএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত রুটিনে শুধু সংস্কৃত প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের রুটিনে প্রথম পত্র ২০ নভেম্বর ছিল। সংশোধিত রুটিনে তা ৬ ডিসেম্বর বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত হবে। একইভাবে সংস্কৃত দ্বিতীয় পত্র ২১ নভেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর বেলা ২টায় শুরু হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি তপন সরকার বলেন, ‘পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার প্রশ্ন যাচাই-বাছাই ও বিতরণকাজে জড়িতদের ওপরও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’
সাধারণত এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিলে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।
এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ৪২ দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে গত ১৯ অক্টোবর জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সেই অনুযায়ী, গত ৩ নভেম্বর থেকেই সব কোচিং সেন্টার বন্ধ আছে, যা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।