বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্ধারিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত নিয়োগে ক্ষুব্ধ চবি শিক্ষক সমিতি

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২২ ১০:২৬

চবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘আমরা ২৪ অক্টোবর একটা জরুরি সভায় বসেছিলাম। গত ১৪ অক্টোবর সিন্ডিকেট সভার কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে এবং পাশাপাশি পূর্বের কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত উঠে আসে। আমাদের সিদ্ধান্তগুলো চিঠিতে উল্লেখ আছে।’

বিজ্ঞাপনে নির্ধারণ করা পদের চেয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে দেয়া চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। এতে সই করেছেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষ।

চিঠিতে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। এতে পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়।

চিঠি থেকে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর শিক্ষক সমিতির একটি বৈঠক হয়। সেখানে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয় চবি শিক্ষক সমিতি।

চিঠিতে প্রথম সিদ্ধান্তে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের কাছে পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছে এবং আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক সুরাহা না হলে চবি শিক্ষক সমিতি কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে আবেদনের তারিখ হতে কার্যকর করা সংক্রান্ত দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক সমিতি জোর দবি জানাচ্ছে।

তৃতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে চিঠিতে বলা হয়, বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগদানের ব্যাপারে সিন্ডিকেটের ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে গত ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করায় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে। এ ধরনের বিতর্ক সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষক সমিতি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছে।

চতুর্থ সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে সিন্ডিকেট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।

শেষ সিদ্ধান্তে চিঠিতে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মো. সেকান্দর চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া ও দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা প্রদান করা হয় যা অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক, অনভিপ্রেত ও নজিরবিহীন এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের পরিপন্থি বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।

এ বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘আমরা ২৪ অক্টোবর একটা জরুরি সভায় বসেছিলাম। গত ১৪ অক্টোবর সিন্ডিকেট সভার কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে এবং পাশাপাশি পূর্বের কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত উঠে আসে। আমাদের সিদ্ধান্তগুলো চিঠিতে উল্লেখ আছে।’

এই শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকগণ ও শিক্ষক সমিতি মনে করছে, সিন্ডিকেটে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। ফলে তাদের দাবি, অধিকার কিংবা তারা যদি কোনো অবিচারের শিকার হন শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকায় সেটা সভায় যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসভ করেননি। কল ধরেননি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দেও।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর