বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি না করলে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন-সংগ্রামের পরও আমাদের দাবিটি উপেক্ষিত, মাত্র ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষক এমপিওভুক্তির সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া না হলে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’
লিখিত বক্তব্যে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বেসরকারি কলেজগুলোতে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারা দেশের ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্তি না থাকার অজুহাতে ২১ বছর থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধার (এমপিও) বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় না।
তিনি আরও বলেন, একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ শেষে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা ক্যাডার/নন-ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রি, তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষকরা জনবলে না থাকার পরও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরাও এনটিআরসিএ সনদধারী হলেও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে প্রতি মাসে ১২ কোটি, বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়, জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।