জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্থায়ী কোনো গ্যালারি নেই, নেই কোনো স্টুডিও। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিল্পকর্ম আয়োজন করতে হলে শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী গ্যালারি তৈরি করে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হয়। এ সংকট দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী গ্যালারি ও স্টুডিও করার দাবি উঠেছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান এ দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং প্রদর্শনীর সমাপনী ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খুব অল্প সময়ে শিক্ষা ও সাহিত্যচর্চায় অনেক এগিয়ে গেছে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চারুকলা বিভাগ অনেক ভালো করছে। আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। দ্রুতই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদ হতে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, বিশিষ্ট শিল্প পৃষ্ঠপোষক প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন এবং অধ্যাপক ড. আলপ্তগীন উপস্থিত ছিলেন।
চারুকলা বিভাগের আয়োজনে ১৭তম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ১০ দিনব্যাপী তৃতীয় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজনের উদ্বোধন হয়। প্রদর্শনীতে ১৯৫ জন শিল্পীর ৩৪৫টি শিল্পকর্ম স্থান পায়।
তৃতীয় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পান আতিকুর রহমান এবং সম্মানসূচক পুরস্কার পান নাঈম মৃধা, রাফিয়া জামান অসমিতা ও হৃদয় হোসেন।
প্রিন্ট মেকিং ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পান ফাইয়াজ হোসেন এবং সম্মানসূচক পুরস্কার পান উম্মে তহমিনা জেরীফ, সুমাইয়া তাহরিন ও লিসি আজাদ।
ভাস্কর্য ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করেন আসফিকুর রহমান এবং সম্মানসূচক পুরস্কার অর্জন করেন পরমা দাস, নু মং প্রু মারমা ও জয়িতা দাস।
এছাড়াও ফাউন্ডেশন কোর্স সম্পন্ন করে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রুদ্র সাহা ও শারমিন আক্তার।
এর আগে ২০১৮ সালে প্রথম ও ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।