৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকার অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা ৬ দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের গেট অবরোধ করে মানববন্ধন করছে।
রোববার দুপুরে তারা গেট অবরোধ করে৷ এ সময় ৬ দফা বাস্তবায়নের আশ্বাস বা জবাব না পাওয়া পর্যন্ত পিএসসির গেট অবরোধ করে রাখার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
১. যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
২. বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারি পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৩. করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে হবে।
৪. যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২০২২ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, একই প্রক্রিয়ায় বর্তমান সমস্যা সমাধান করতে হবে।
৫. বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেয়া হবে’ এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিকেলে পর্যন্ত নিয়োগপ্রত্যাশীরা পিএসসির গেট অবরুদ্ধই রেখেছিল।