বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুক ব্যবহারে শিক্ষকদের ৯ দফা নির্দেশনা

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:৫৮

মাউশির আদেশে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনার পরও যদি কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমন কাজ করেন, তাহলে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করতে পারবেন না শিক্ষকরা। এ ছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।

শিক্ষকদের এ ধরনের কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রোববার মাউশি ৯ দফা নির্দেশনাসহ একটি অফিস আদেশ জারি করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই নির্দেশনার পরও যদি কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমন কাজ করেন, তাহলে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথা ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করছেন। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকদের চাকরি শর্ত বিধিমালা ১৯৭৯ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯-এর (পরিমার্জিত সংস্করণ) পরিপন্থি।’

এতে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেসব শিক্ষক-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলেছেন, সেসব গ্রুপের সব গ্রুপ অ্যাডমিনকে গ্রুপে কন্টেন্ট, পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন, বিধি পালন করতে হবে। এ নির্দেশনাটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন।

মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি কারও কন্টেন্ট, পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কন্টেন্ট, পোস্ট আপলোডকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর