লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হলেও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আশা, আগামী বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে উঠবে নতুন বই।
সচিবালয়ে বুধবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বইয়ের কাজগুলো একটু পিছিয়ে আছে। তবে আশা করছি বছরের প্রথম দিনই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছাতে পারব। প্রেসগুলোর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তারা যেভাবে বলেছে, তাতে ১ জানুয়ারি বই দিতে পারার কথা।’
দীপু মনি বলেন, ‘বৈশ্বিক কারণে আমাদের পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। সে রকম যদি অপ্রত্যাশিত কোনো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির তৈরি না হয়, তবে আমরা বিশ্বাস করি, সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে পারব।’
এইচএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অবশ্য কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব না বলে দাবি করেন তিনি।
দীপুমনি বলেন, ‘এটা বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তারা এ কাজটি করে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকে। এখন কোথাও কোনো শিক্ষক তার নিজের বাড়িতে কোচিং করাচ্ছে এমন তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘কোথাও কোথাও কেউ বাইরে তালা লাগিয়ে কোচিং করাতে পারে। কোথাও এমন আছে যে, তারা অন্য কিছুর কোচিং করাচ্ছেন। যেমন, আইএলটিএস চলে, বিসিএস চলে, জিআরই কোচিং সেন্টার চলে। সেসব ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনকে বলেছি আরও কঠোর হতে, যাতে কোচিং অবশ্যই বন্ধ থাকে। তারপরেও সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা পাই। কোথাও এ সময়ে কোচিং হলে আমাদের জানাবেন।’
এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, প্রশ্নের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন যায়নি।
‘তবে সামনে যাতে এমন কোনো দুর্ঘটনা না-ঘটে, তা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগে যে ছোটো-খাটো ব্যত্যয় ঘটেছে, ভবিষ্যতে তা ঘটবে না বলে আশা করি।’